দুর্গাপুর ব‍্যারেজে জল বিভ্রাট : বিদ‍্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হবার আশঙ্কা

1st November 2020 12:17 pm বাঁকুড়া
দুর্গাপুর ব‍্যারেজে জল বিভ্রাট : বিদ‍্যুৎ উৎপাদনে  ঘাটতি হবার আশঙ্কা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দামোদরের লক গেট মেরামতের কাজ ঠিক করে জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে না। শুধু মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পেই নয় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবে ডিভিসির দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশনেও। এই দুই বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি। ফলে ৪৮ ঘন্টার পর জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দেশের যে সব এলাকায় ডিভিসি বিদ্যুৎ-এর যোগান দেয় সেখানে ঘাটতি দেখা দেবে। মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের ডিজিএম প্রবীর চাঁদ বলেন এমটিপিএসে দুটি রিজার্ভার রয়েছে।জলধারন ক্ষমতা ১৫ লক্ষ কিউবিক মিটার ।শনিবার দুপুর পর্যন্ত যতটা সম্ভব ইনটেক পাম্প হাইস থেকে জল ভরে নেওয়া হয়েছে। তাতে দুদিন মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প সুরক্ষিত। এখানে ৮ টি ইউনিট চালাতে দৈনিক দেড় লাখ কিউবিক মিটার জল প্রয়োজন ।এছাড়াও ডিভিসির আবাসনে পানীয় জলের সরবরাহ করতে হয়। আমরা মাইকিং করে জল খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি। তিনি বলেন শুনেছি লক গেট মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। কাজ শেষ হলেই ডিভিসি আপার ভ্যালির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু করবে। কিন্তু ২০১৭ সালে ১ নং লক গেট ভেঙে পড়ায় ৫ দিন সময় লেগেছিল এবার দু'দিনের বেশি সময় লাগলে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।